“যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করতে চায় — আমরা এখনই প্রস্তুত”: পুতিনের কড়া হুঁশিয়ারি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপ যদি যুদ্ধ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে রাশিয়া “এখনই” তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে সক্ষম। তিনি ইউরোপীয় নেতাদের শান্তির দৃষ্টিকোণ না মেনে, যুদ্ধ-উৎসাহী পরিকল্পনায় latently যুক্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।

“যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করতে চায় — আমরা এখনই প্রস্তুত”: পুতিনের কড়া হুঁশিয়ারি - Ajker Bishshow
২০২৫ সালের ২ ডিসেম্বর, মস্কোয় অনুষ্ঠিত Russia Calling! Investment Forum–এ বক্তব্য রাখার সময় পুতিন বলেন — রাশিয়া ইউরোপকে কোনোপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা দেয়নি, কিন্তু “যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করে, আমরা এখনই প্রস্তুত।”
তিনি যুক্তি দেন, অনেক ইউরোপীয় দেশ এবং তাদের মিত্ররা যে যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে — সেটা শান্তির মনোভঙ্গি নয়। “তারা শান্তির কোনো এজেন্ডা রাখে না, তারা যুদ্ধের দিকে ঝুঁকে আছে,” পুতিন মন্তব্য করেন।
পুতিন কি বললেন
- “আমরা ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ বা সংঘর্ষ চায় না” — পুতিন স্পষ্ট করেন।
- কিন্তু, “যদি ইউরোপ যুদ্ধ শুরু করে — আমরা এখনই প্রস্তুত।”
- তার মতে, ইউরোপীয় নেতারা প্রকৃত শান্তি প্রস্তাব রাখেনি এবং ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে তাদের অবস্থান রাশিয়ার কাছে “গ্রহণযোগ্য নয়।”
- পুতিন দাবি করেন, হয়তো শর্ত হচ্ছে এমন কিছু যা রাশিয়া মানতে পারে না, তাই তারা ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত সাম্প্রিক শান্তিপ্রস্তাবকে “অগ্রহণযোগ্য” বলেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময় যখন ইউরোপ এবং পশ্চিমা অংশীদাররা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন।
বিশেষ করে, পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করছে — রাশিয়া শুধু সামরিক মিথ্যার মাধ্যমে নয়, বরং হাইব্রিড যুদ্ধ, সাইবার হামলা, সামরিক উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ইউরোপকে ভয়প্রদ করতে পারে।
বিশ্লেষণ: পুতিনের এই হুঁশিয়ারির উদ্দেশ্য কি?
- কূটনৈতিক চাপে নিই: পুতিন হয়তো এই মন্তব্যের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নাকি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপে রাখতে চায় — যেন যুদ্ধ শুরু না করে, আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে।
- শান্তিপ্রস্তাবকে পুনরায় রূপান্তর: সে দাবি করতে পারে, পশ্চিমা দেশে প্রস্তাবিত যে শান্তি পরিকল্পনা, সেটা রাশিয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য নয় — তাই পূর্বশর্ত হিসেবে শক্তি প্রদর্শন প্রয়োজন।
- ভূরাজনৈতিক সংকেত: ইউক্রেন যুদ্ধ শুধু দু’দেশের সীমাবদ্ধ নয় — এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া পশ্চিমা ব্লককে ব্যালান্স করার চেষ্টা করছে, যা অন্য দেশগুলোকে সতর্ক করে দিচ্ছে।
- আভ্যন্তরীণ দৃষ্টিকোণ: মস্কোর জনগণের কাছে এই ধরণের শক্তিশালী ভাষা দিয়ে পুতিন নিশ্চিত করতে চায় যে — রাশিয়া নিরাপদ এবং প্রস্তুত, যদি প্রয়োজন হয়।
ঝুঁকি ও সম্ভাব্য ফলাফল
- এমন মন্তব্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়াবে। বিশেষত NATO দেশগুলো এবং পূর্ব ইউরোপের সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোর জন্য।
- কূটনৈতিক সম্পর্ক শীতল হতে পারে, শান্তিপ্রস্তাবের সম্ভাবনা জটিলতা বাড়তে পারে।
- যুদ্ধ সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তাগত প্রভাব জেগে যাবে — যা শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ।
- পাশাপাশি, এই পদক্ষেপ এবং ভাষা ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সংঘর্ষ বা ভুল হিসাব নেয়া ক্ষেত্রে বড় রূপ নেওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
আমাদের জন্য গুরুত্ব কেন?
যেহেতু বর্তমান বিশ্ব অতি নিবিড়ভাবে পরস্পর যুক্ত — ইউরোপ ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন উত্তেজনা শুধু উভয় অঞ্চলের জন্য নয়, সামগ্রিক গ্লোবাল নিরাপত্তা, অর্থনীতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য, গ্লোবাল বাজার ও জ্বালানি সরবরাহ, অভিবাসন-নিয়ম, রফতানী– আমদানি ও রাজনৈতিক সমীকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে নজর রাখা জরুরি।
Related Posts
View All
রক্তে রাঙা শান্তিরক্ষা মিশন: সুদানে ড্রোন হামলায় ৬ বাংলাদেশি সেনা নিহত | Six Bangladeshi Peacekeepers Killed in Sudan Drone Attack
সুদানের দক্ষিণ কোরদোফান অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এই হামলাকে ‘হররিফিক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি।

🔥 চীনের দাবি অস্বীকার, অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা | Arunachal Will Remain Integral Part”: India’s Firm Response After Shanghai Airport Detention
শেনজেন বিমানবন্দরে অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নাগরিক আটক হওয়ার ঘটনা ভারতের কূটনৈতিক আগ্রাসনকে তীব্রভাবে সামনে এনেছে। Ministry of External Affairs স্পষ্ট জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং চীনের কোনো দাবি বা অসন্তুষ্টি এ বাস্তবতা বদলায় না। ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি জাতীয় সার্বভৌম

⚠️ আবার যুদ্ধের আগুন! ট্রাম্প-মধ্যস্থ সমঝোতার পরও থাই–কম্বোডিয়া সংঘর্ষ বেড়েই চলছে | Border War Returns: Thai Airstrikes, Cambodian Artillery Shake Fragile Truce
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের দফায় দফায় গোলাগুলি ও বিমান হামলায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ট্রাম্প-মধ্যস্থ শান্তিচুক্তির মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই দুই দেশের পুরনো সীমান্ত বিবাদ আবার রক্তাক্ত রূপ নিয়েছে।







