অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাঁপানো সিদ্ধান্ত! 🚫🇦🇺 ১৬ বছরের নিচে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ | Australia’s Bold Move: World-First Social Media Ban for Under-16s Sparks Global Shockwave 🚫📱
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের নিচের কিশোরদের জন্য সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে। নতুন এই আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই Facebook, Instagram, TikTok, Snapchatসহ বড় বড় প্ল্যাটফর্মগুলোতে শুরু হয়েছে অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া। সিদ্ধান্তকে ঘিরে দেশে-বিদেশে চলছে তুমুল বিত

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাঁপানো সিদ্ধান্ত! 🚫🇦🇺 ১৬ বছরের নিচে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ | Australia’s Bold Move: World-First Social Media Ban for Under-16s Sparks Global Shockwave 🚫📱 - Ajker Bishshow
ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (social media) শিশু ও কিশোরদের জন্য একদিকে যেমন সুযোগ আর সামাজিক সংযোগের প্ল্যাটফর্ম, অন্যদিকে তেমনি নতুন ঝুঁকি — যেমন সাইবার বুলিং, মানসিক চাপ, গোপনীয়তা হ্রাস, অনুপযুক্ত বা ক্ষতিকর কনটেন্ট, এবং অ্যাডিকশন। অনেক দেশেই শিশুদের অনলাইন সুরক্ষার উদ্যোগ বেড়েছে; কিন্তু সাধারণত সেটা সতর্কতা, বিধি বা প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে — সম্মিলিত ভাবে সামাজিক মাধ্যম নি:সন্দেহে বন্ধ করার মতো sweeping আইন ছিল না।
এ পরিস্থিতিতে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর ৯ তারিখের মধ্যরাত থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দেশ হিসেবে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ১৬ বছরের নিচের সবাইকে (under-16) সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা হবে; অর্থাৎ তারা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না, এবং পুরনো অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ বা “deactivate” করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত কেবল অস্ট্রেলিয়ার নয় — বিশ্বব্যাপী শিশু ও কিশোরদের অনলাইন নিরাপত্তা, ডিজিটাল বিনিয়োগ, এবং রাষ্ট্রের নিয়োগ-দায়িত্ব নিয়ে নতুন বিতর্ক এবং ভাবনার সূচনা করেছে। এই রিপোর্টে — আইনটি কী, কেন, কীভাবে, কে-কোন প্ল্যাটফর্মে প্রভাব পড়েছে, সমর্থন-বিরোধ, সম্ভাব্য লাভ–ক্ষতি, এবং বিশ্ব প্রতিক্রিয়া — সবকিছু বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আইন ও এর উপাদানগুলো: কী ঠিক হল?
- আইনটির নাম Online Safety Amendment (Social Media Minimum Age) Act 2024।
- আইনটি ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বরে আইনসভায় পাস হয়।
- যুদ্ধ-পরবর্তী ডিজিটাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ২০২৫ সালের ১০ ডিসেম্বর (স্থানীয় সময়) থেকে আইন কার্যকর।
- নতুন আইন অনুযায়ী, যেকোনো “age-restricted social media platform” তে — অর্থাৎ যে প্ল্যাটফর্মগুলো সামাজিক যোগাযোগ, পোস্ট, কমেন্ট, শেয়ারিং ইত্যাদির উদ্দেশ্য পূরণ করে — তাদের কাছে বাধ্য করা হয়েছে: ১৬ বছরের নিচের (under-16) ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট রাখতে দেব না; নতুন অ্যাকাউন্টও খুলতে দিবে না।
- যদি কোনো প্ল্যাটফর্ম আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তাদের উপর A$ 49.5 میلیون (অস্ট্রেলিয়া ডলার) পর্যন্ত জরিমানা হওয়ার কথা।
- যে প্ল্যাটফর্মগুলো প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: Facebook, Instagram, TikTok, Snapchat, X (প্রাক্তন Twitter), YouTube, Reddit, Twitch, Kick, এবং Threads (Instagram-based) — তবে তালিকা স্থির নয়। ভবিষ্যতে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মও যোগ হতে পারে।
- তবে কিছু ধরণের প্ল্যাটফর্ম বা সেবা — যেমন গেমিং সার্বিস, মেসেজিং অ্যাপ, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যভিত্তিক সাইট — সাধারণত নিষেধাজ্ঞার আওতায় নয়; কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত platform-by-platform হবে।
এই আইনটির মাধ্যমে, অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে একটি জাতীয়–স্তরের, বয়স-ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।
কেন এই আইন — যুক্তি ও প্রেক্ষাপট
এই আইন আনার পেছনে রয়েছে সরকারের উদ্বেগ ও যুক্তি:
- এমন সময়ে যখন বহু শিশু ও কিশোর অনলাইনে আসছে, তারা কম বয়সে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে, এবং অনেক সময় সতর্কতা বা পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে ক্ষতিকর কনটেন্ট, সাইবার বুলিং, গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ম্যানিপুলেশন, মানসিক চাপ–সমস্যা, এবং অ্যাডিক্টিভ ডিজাইন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
- আইনপ্রণেতারা যুক্তি দেন, তারুণ্যের মানসিক ও আবেগগত বিকাশ — বিশেষ করে ১৩–১৫ বছর — এমন এক সময়, যখন বাইরের চাপ, আত্মপরিচয়, গোষ্ঠাগত সম্মান, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, আত্মভুল, প্রাচুর্য, ইত্যাদি অনলাইনের চাপে বিকৃত হতে পারে। এক “স্বচ্ছ, বয়সভিত্তিক সীমা” স্থাপন করা একটি প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর নীতি।
- অনেক অভিভাবক, শিশুরিকর ও শিশু সুরক্ষা-অভিযানকারীরা বলেছিলেন, টেক কোম্পানিগুলোর স্বেচ্ছাসেবামূলক নিয়ম বা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট নয়; কোম্পানিগুলো প্রায়শই লাভ ও বাণিজ্যিক মডেল ভারী; সো প্রো-অ্যাকটিভ, বাধ্যতামূলক এবং স্পষ্ট আইন দরকার।
- অস্ট্রেলিয়া সরকারও যুক্তি দিয়েছে, তারা টেক কোম্পানিগুলোকে “১৫–২০ বছর” সময় দিয়েছে সমস্যাগুলো স্বেচ্ছায় মীমাংসা করার জন্য — কিন্তু “যা পর্যাপ্ত ছিল না”। তাই, কঠোর আইন নিয়ে কাজ করা জরুরি।
সংক্ষেপে, আইন প্রণেতারা এবং সহ-সমর্থকরা মনে করেন — এই নীতি একটি “প্রটেক্টিভ ফ্রেমওয়ার্ক”: অনলাইন জটিলতা, ক্ষতিকর কনটেন্ট ও ডিজিটাল ঝুঁকি থেকে নিচু বয়সীদের রক্ষা করার এক কার্যকর পদক্ষেপ।
আইন প্রয়োগ: আজ (৯/১০ ডিসেম্বর ২০২৫) তার প্রয়োগ শুরু — কী ঘটছে?
নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ে — আইন কার্যকর হওয়া মাত্রি থেকেই বেশ কিছু কাজ শুরু হয়েছে:
- midnight ৯ ডিসেম্বর (অস্ট্রেলিয়া সময়) থেকে আইন কার্যকর।
- বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, Meta Platforms (যার Facebook ও Instagram রয়েছে) ইতিমধ্যেই ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৩–১৫ বছর বয়সীদের অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ (deactivate) করতে শুরু করেছে।
- নতুন একাউন্ট খোলার প্রয়াস আগেই রোধ করা হয়েছে — under-16s এর জন্য নতুন রেজিস্ট্রেশন নিষিদ্ধ।
- অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম — যারা তালিকাভুক্ত — তাদের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশেই সমন্বয় বা বদ্ধপ্রয়াস দেখা যাচ্ছে।
- একই সময়ে, আইনের বাস্তবায়ন ও কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে — enforcement কঠিন হবে, “age-verification” প্রক্রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ, এবং অনেক under-16s হয়তো VPN বা অন্য অ্যাপ/অ্যালটারনেটিভ উপায় ব্যবহার করতে পারে।
এভাবে, আইন শুধু কাগজে নয় — বাস্তবতায় এখনই তার প্রভাব দেখা দিচ্ছে।
সমাজের প্রতিক্রিয়া — সমর্থন, বিরোধ ও সমস্যা
নতুন এই আইন ঘিরে অস্ট্রেলিয়ার অভিভাবক, শিশু-সুরক্ষা গোষ্ঠী, আইন-বিশারদ, টেক প্ল্যাটফর্ম, এবং সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে।
✔ সমর্থন ও আশাবাদ
- অনেক অভিভাবক এবং শিশু সুরক্ষা-পক্ষ বলেছে: সামাজিক মাধ্যমের ডিজাইন, অ্যালগোরিদম, স্ক্রোল অ্যাডিকশন, সাইবার বুলিং, অপরিচিতদের গোপন যোগাযোগ — সবকিছুতে মাইনররা ঝুঁকিতে ছিল। আইন তাদের জন্য “রক্ষাকারী বলয়” হিসেবে কাজ করবে।
- এরকম একটা ন্যায্য নিয়ম যা অ্যালকোহল, সিগারেট বা ড্রাইভিং-এর বয়সমূলক নিয়ন্ত্রণের মতো একটি সামাজিক স্তর যুক্ত করে: অর্থাৎ, অনলাইনেও “নিয়মিত, একটি পরিষ্কার সীমা” স্থাপন করা হচ্ছে।
- যেহেতু বহু দেশেই শিশু ও কিশোরদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে একটি “বিশ্ব-মডেল” হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যান্য দেশও নজর রাখছে, এবং কিছু ইতোমধ্যেই অনুরূপ পরিকল্পনা করছে।
✖️ সমালোচনা, উদ্বেগ এবং ঝুঁকি
কিন্তু আইনকে সমালোচনা বা সংশয় ছাড়া গ্রহণ করা হয়নি। বিভিন্ন পক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা নিচের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন:
- বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ভাষ্য অনুযায়ী, enforcement কঠিন; বাস্তবে “age-verification” প্রক্রিয়া কার্যকর, সঠিক ও নিরাপদভাবে চালানো কঠিন। বিশেষ করে — যারা ভুলভাবে ১৬+ হিসেবে চিহ্নিত, বা এপ্রিলেট করে যাচাই করতে পারবেনা — তাদের জন্য সমস্যার সম্ভাবনা আছে।
- YouTube — যাকে শুরুতে কিছুটা শিক্ষা ভিত্তিক কারণে নিষিদ্ধ করার বাইরে রাখা হয়েছিল — এখন আইন অভিযুক্ত; কিন্তু YouTube বলেছে, “account-less” ব্যবহার হলেও, safety filters ও চাইল্ড- পড়া safeguard হারাবে, এবং ফলে “less safe” হতে পারে।
- আইনটি একেবারেই নিছক শ্রেষ্ঠ-নিয়ম নয়, এমনটাই দৃষ্টিকোণ: কিছু শিশু বা কিশোর এমন সমাজ বা পরিবার থেকে, যারা বিদেশে, রিমোট এলাকায় বা অন্যান্য কারণে — সামাজিক মাধ্যমই তাদের সামাজিক সংযোগ, বন্ধু, সমাজ, তথ্য ও সমর্থনের এক মাত্র পথ। ওই পথ বন্ধ হলে, তারা বন্ধু-বন্ধন, পরিচয়, সমর্থন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বিশেষ করে kwetsable গোষ্ঠী — যেমন গে/কুইয়ার কিশোর, মানসিক সমস্যাযুক্ত, নিঃসঙ্গ — হুমকিতে পড়তে পারেন।
- একই সঙ্গে, সমালোচকরা বলছেন, “এক দণ্ড সব বয়সের জন্য” নীতি খুবই জোর করে। অনলাইন ঝুঁকি সবার জন্য নয় বা একইভাবে নয় — পরিবর্তে, শিক্ষামূলক, গাইডেন্স, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ও সচেতনতা প্রশিক্ষণ বেশি জরুরি।
সাধারণ জনগণের ভিতরও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে: কিছু কিশোর বা বাবা-মা আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন; আবার অনেকে বলছেন এই সিদ্ধান্ত “অসুবিধা এবং আরও নতুন সমস্যার কারণ হবে”।
প্রথম ২৪ ঘণ্টা: ফলাফল, কোম্পানির প্রতিক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ
কিছু ঘন্টার মধ্যেই আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে — এটি শুধু সিদ্ধান্ত বা ঘুষি নয়; বাস্তব পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে।
- বড় টেক কোম্পানি, বিশেষ করে Meta — ইতিমধ্যেই under-16s ইউজার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেশন শুরু করেছে।
- আগে থেকেই under-16s অ্যাকাউন্টে নতুন সাইন-আপ বন্ধ ছিল; তাই নতুন কোন অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন পাওয়া যাবে না।
- অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোও সমন্বয় করছে: কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া, কিছু বিরোধ, তবে বেশিরভাগ compliance শুরুর সংকেত দিয়েছে।
- একই সময়ে, enforcement ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ভর করছে: স্কুলছাত্র, কিশোর বন্ধুবান্ধবরা হয়তো VPN বা বিকল্প অ্যাপের দিকে যেতে পারে; এবং age-verification প্রক্রিয়া পুরনো গ্রাহক বা ১৬+ হিসেবে ভুল চিহ্নিতদের জন্য ঝামেলার কারণ হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, অস্ট্রেলিয়ার নেটিজেন, সমাজ ও মিডিয়াতে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে — এটা কেবল এক দেশীয় আইন নয়; বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিশু ও কিশোরদের অনলাইন অধিকার, সুরক্ষা এবং স্বাধীনতার সীমা কোথায় — এই প্রশ্নের প্রতিফলন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে নজর আকর্ষণ করেছে। অনেক দেশ, বিশেষত পশ্চিমা বিশ্ব এবং উন্নয়নশীল দেশে — শিশুদের ডিজিটাল সুরক্ষা, গোপনীয়তা, এবং অনলাইন অ্যাডিকশনের ঝুঁকি নিয়ে ভাবছে।
- এমনকি একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার মতো আইন বিবেচনা করছে; উদাহরণস্বরূপ, Denmark ঘোষণা দিয়েছে, তারা ১৫ বছরের নিচের শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে।
- সাংবাদিক, শিশু-সুরক্ষা কর্মী, আইনপ্রণেতা এবং সামাজিক উদ্যোগকারীরা অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে “প্রেমিক মডেল” হিসেবে দেখছেন; এটি বাধ্যতামূলক নিয়ম আরোপের মাধ্যমে কেবল প্রযুক্তি কোম্পানিদের দায়ে ফেলে দিচ্ছে, এবং দীর্ঘমেয়াদিভাবে “নিয়মিত, কাঠামোগত” পরিবর্তন আনতে পারে।
- তবে, ভবিষ্যৎ প্রভাব কেবল ইতিবাচক হবে — এমন আশাহত নয়: enforcement, প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, তরুণদের স্বাধীনতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা — সবকিছু একটি দীর্ঘ-মেয়াদী পরীক্ষা হবে।
বিশ্লেষণ: এই আইন কি যথার্থ ও যৌক্তিক — নাকি অতিরিক্ত এবং সমস্যাযুক্ত?
🔎 আইনটির শক্তিশালী দিক
- “স্বচ্ছ বয়স সীমা” দিয়ে আইন তৈরি — এটি এমন এক স্পষ্ট মাপকাঠি, যা কিনা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল বা কোম্পানির নিয়মের থেকে বেশি স্থায়ী ও কার্যকর।
- শিশু ও কিশোর mental health, safety এবং গোপনীয়তা ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বাস্তব, প্রয়োজ্য এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ।
- আইনটি — যদি সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা যায় — টেক কোম্পানিগুলোর জন্য একটি শক্ত সংকেত: “শুধু লাভ-উদ্দেশ্য নয়, দায়িত্ব আছে”। এর ফলে ভবিষ্যতে ডিজিটাল সেবা আরও সাবধানে ডিজাইন হতে পারে।
- আন্তর্জাতিকভাবে, এটি শিশু-সুরক্ষা নীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে; একই সঙ্গে, অন্যান্য দেশগুলোকেও শিশুদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার নিয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
⚠️ সম্ভাব্য ত্রুটি ও ঝুঁকি
- enforcement বাস্তবে কঠিন; age-verification প্রযুক্তি — যেমন পরিচয়পত্র চেক, ভিঞ্চাল সেলফি, বায়োমেট্রিক যাচাই — গোপনীয়তা, ভুল শনাক্তকরণ, তথ্য সুরক্ষা ইস্যু তৈরি করতে পারে।
- এমন আইন “সব কিছু বন্ধের” নির্দেশনা — কিন্তু অনলাইন অভিজ্ঞতা একরকম নয়। অনেক কিশোর ও শিশু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত শিক্ষা, বন্ধু, গোষ্ঠী, সৃষ্টিশীলতা, পরিচয়, সমর্থন — সব জন্য। আইন, বিশেষভাবে যারা kwetsable বা মার্জিনাল কমিউনিটি থেকে, তাদের এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
- এটি সম্ভাব্যভাবে “অনিয়ন্ত্রিত” অনলাইন বিকল্পের দিকে প্ররোচিত করবে — VPN, গোপন অ্যাকাউন্ট, অন্যান্য নতুন বা গোপন প্ল্যাটফর্ম। সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কম, এবং ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- কনটেন্ট বা ডিজিটাল ভয় থেকে মুক্তি পেতে আইন আনা হলেও, এটি সরাসরি “অনলাইন অভিজ্ঞতা” বা “ডিজিটাল শিক্ষা ও অংশগ্রহণের অধিকার” কে সীমিত করে — যা অনেক জন্য এক ধরনের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতিক্রিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার under-16 social media ban একটি সাহসী, যুগোপযোগী এবং যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটি হয়তো ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং শিশুদের মানসিক–সামাজিক স্বাস্থ্যের দিকে পৃথিবীর দৃষ্টি বদলে দিতে পারে।
তবে, এই আইন প্রয়োগের বাস্তবতা, তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব, এবং ডিজিটাল অধিকার বা গোপনীয়তার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি এক গভীর পরীক্ষা। যদি শুধুই বন্ধ করা হয়, এবং শিশুদের বিকল্প, নিরাপদ, শিক্ষামূলক, গোপন-ভিত্তিক, এবং সমর্থনভিত্তিক অনলাইন জায়গা না দেওয়া হয় — তাহলে এই আইন এক ধরণের “নিয়ন্ত্রক censorship”–এ পরিণত হতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও নীতি-নির্ধারকরা এখন অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা দেখবে — এই আইন কি কেবল সংখ্যা (অ্যাকাউন্ট বন্ধ, ব্যবহার কম) বদলাবে, নাকি সামাজিক আচরণ, ডিজিটাল শিক্ষা ও অংশগ্রহণ, মনোবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ন্যায়, এবং শিশু-সুরক্ষায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গা গড়ে তুলবে?
আমি নিজে মনে করি: এমন sweeping আইনগুলোর পাশাপাশি — প্রয়োজন সামাজিক, শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ; পারিবারিক সচেতনতা; এবং নিরাপদ, নিয়ন্ত্রিত, কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে ডিজাইন করা এমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যা কিশোরদের বিকাশ, সৃজনশীলতা, বন্ধন ও শিক্ষা — সবকিছুর জন্য হবে, কিন্তু ঝুঁকি এবং গোপনীয়তা রক্ষা করবে।
বাংলাদেশ বা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে — যেখানে ডিজিটাল ব্যবহার উচ্চ—but regulation এবং সচেতনতা এখনও গড়ে ওঠেনি — অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্ত আমাদেরও নতুন করে ভাবতে প্ররোচিত করে।
Related Posts
View All
বেগম রোকেয়ার ৩৫০ বিঘা জমি কোথায় হারাল? ৯৩ বছর পরও কেন উদ্ধার হলো না? | Where Did Begum Rokeya’s 350 Bighas of Land Go? Why It Still Remains Unrecovered After 93 Years!
বেগম রোকেয়ার পৈতৃক ৩৫০ বিঘা জমির বেশিরভাগই দীর্ঘদিন ধরে দখলে রয়েছে। জন্মের ১৪৫ বছর ও মৃত্যুর ৯৩ বছর পরেও জমিগুলো আজও উদ্ধার হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী, প্রশাসনিক অবহেলা ও মামলার ধীরগতির কারণে ঐতিহাসিক এই সম্পত্তি এখনো দখলমুক্ত হয়নি।

৬০-এ প্রেমের নতুন অধ্যায়! ❤️ Aamir Khan বললেন, Gauri Spratt তার জীবনে এনেছেন শান্তি ও খুশি | Aamir Khan Finds Love at 60! ❤️ How Gauri Spratt Brings Calm and Happiness to His Life
৬০ বছর বয়সেও জীবন তাকে দেবে নতুন ভালোবাসার সুযোগ—এমনটি স্বপ্নেও ভাবেননি বলিউড সুপারস্টার Aamir Khan। তবে Gauri Spratt‑এর সঙ্গে তার সম্পর্ক জীবনে এনেছে শান্তি, স্থিরতা এবং নতুন উৎসাহ। তার মন্তব্য, “Gauri brings a lot of calm, a lot of steadiness,” এখন ভক্তদের মধ্যে আলোচনার বিষয়।






