ইসরায়েল থেকে পালানোর ঢেউ 🌊: Portuguese Citizenship-এর জন্য হাজারো আবেদনকারী
ইসরায়েলে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত অস্থিরতার কারণে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক পর্তুগাল দূতাবাসে ভিড় করছেন। তারা মূলত Portuguese citizenship বা দ্বিতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছেন, যা তাদের EU–তে ভ্রমণ, পড়াশোনা ও চাকরির সুযোগ খুলে দেবে। এই ভিড় শুধুই নাগরিকত্বের জন্য নয়, বরং একটি “Plan B” এবং..

ইসরায়েল থেকে পালানোর ঢেউ 🌊: Portuguese Citizenship-এর জন্য হাজারো আবেদনকারী - Ajker Bishshow
গত সপ্তাহে — বিশেষ করে ২০২৫ সালের ২৯-৩০ নভেম্বর — ইসরায়েলে একটি অদ্ভুত, কিন্তু চ্যালেঞ্জপূর্ণ দৃশ্য চিত্রিত হয়: হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক — অনেকেই ভোর থেকে — Embassy of Portugal in Tel Aviv–র সামনে প্রায় দখল‑সারিতে দাঁড়িয়েছে। তারা — কিছু নতুন নাগরিকত্বের জন্য, কিছু আবার পুরনো পর্তুগিজ পাসপোর্ট নবায়নের জন্য — দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। সারি ছিল এতটাই দীর্ঘ যে, দূতাবাসের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিং পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
এই নাটকীয় দৃশ্য পুরোপুরি আকস্মিক নয় — বরং এটি বহুবছরের আইন, সম্প্রতি পরিবর্তন, এবং বর্তমান রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত উত্তেজনার প্রতিফলন। নিচে বিশ্লেষণ করা হবে — কেন এমন বড় ঢেউ, এবং এর পেছনে কি কারণ।
পেছনের আইন এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
- ২০১৫ সালে, পর্তুগাল — এক আইন পাশ করে — সিদ্ধান্ত নেয় যে, যারা তাদের পূর্বপুরুষ হিসেবে Sephardic-ইয়ূদী (Sephardic Jews) — যারা প্রায় ১৫ম শতকে Inquisition (ইনকুইজিশন)–র সময় পর্তুগাল থেকে বিতাড়িত বা নিপীড়িত হয়েছিল — তাদের সন্তানদের, সেই ইতিহাসের প্রপঞ্চের জন্য, পর্তুগিজ নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে।
- এই সিদ্ধান্ত ছিল মূলত ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের এক উদ্যোগ। এর ফলে, কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। ২০১৫–২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১১২,০০০ ইসরায়েলি নাগরিক পর্তুগিজ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছে।
- ২০২১ ও ২০২২ সালে, উপযুক্ত আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১,২৬৩ এবং ২০,৯৭৫ — এই দুই বছরে ইসরায়েলিই ছিল সবচেয়ে বড় আবেদনকারী গোষ্ঠী, এমনকি এমন এক দেশ হিসেবে যেখানে জনসংখ্যা ব্রাজিলের মতো বৃহৎ দেশ নয়।
তবে এই “Sephardic law”–র জনপ্রিয়তা এবং আবেদনবোধ দ্রুতই অনেক জনদরকার হয়ে ওঠে। এজন্য পর্তুগাল সরকার ২০২৩ সালে সিদ্ধান্ত নেয় যে, আইনটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য — ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার — প্রায় পূর্ণ হয়েছে; ফলে নাগরিকত্বের আবেদন পদ্ধতিতে নতুন ও কঠোর যোগ্যতা যোগ করা হবে।
কেন এখন এত বেশি উৎসাহ — ২০২৫ সালের ঘটনা ও প্রেক্ষাপট
১. নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা
- সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষ করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে) ইসরায়েলি‑ফিলিস্তিনি সংঘাত তীব্র হওয়ায়, দেশে রাজনৈতিক ও সুরক্ষাজনিত অস্থিরতা বেড়েছে। অনেক ইসরায়েলি — বিশেষ করে যারা আরও ভবিষ্যত‑নিরাপত্তা খুঁজছেন — বিকল্প দেশ ও নাগরিকত্বের দিকে আকৃষ্ট হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো এই “দ্বিতীয় পাসপোর্ট” বা “Plan B” হিসেবে পর্তুগিজ পাসপোর্টকে উল্লেখ করে।
- এই ঝোঁকাকে “গতিশীল জীবন” ও “শিক্ষা/কর্মসংস্থান সুযোগ”–র দৃষ্টিকোন থেকেও দেখা হচ্ছে: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)–র আওতাভুক্ত দেশগুলোতে যাতায়াত, কাজ বা পড়াশোনা সহজতর হয়। তুলনামূলকভাবে কম জীবনযাত্রার ব্যয়, সস্তা এবং গুণগত শিক্ষা, এবং EU নাগরিকদের জন্য আনুমানিক সুবিধা — সব মিলিয়ে এটি অনেকের জন্য আকর্ষণীয়।
২. অনলাইন সিস্টেম ও আবেদন‑পদ্ধতির ভিড়
- যদিও অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু আবেদনকারীদের সংখ্যা এত বেশি হয়ে গেলে সিস্টেম তৎক্ষণাৎ অপ্রতুল ও overburdened হয়ে পড়ে। এই কারণে, দূতাবাস ২০২৫ সালের শেষ দিকে একটি বিশেষ “walk-in” — বা in-person application day ঘোষণা করে। অনেকেই দেখেন, এটি একটি সংহারিত সুযোগ।
- সেই দিন সকালে থেকে হাজার হাজার আবেদনকারী উপস্থিত হন, অনেকে ভোরে। সারি ছিল দূতাবাসের গেট থেকে শুরু করে নীচে পার্কিং লট পর্যন্ত।
৩. ভবিষ্যৎ‑বিকল্প ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা
- অনেক আবেদনকারী হয়তো কখনোই স্থায়ীভাবে পর্তুগালে বসবাস করার পরিকল্পনা করছেন না। বরং, তারা চাইছেন একটি “দ্বিতীয় পাসপোর্ট” — যা EU–র অন্য যে কোনো দেশে ভ্রমণ, কাজ বা পড়াশোনার জন্য দরজা খুলে দেবে। পূর্ববর্তী পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যদিও প্রচুর আবেদন করা হয়েছে, বাস্তবে অনেকেই পর্তুগালে স্থায়ীভাবে যায়নি। ২০২২ সালে প্রায় ৬০,০০০ ইসরায়েলি নাগরিক পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পেয়েছিল, তবে শুধু ৫৬৯ জনই পর্তুগালে বসবাসকারী হিসেবে নিবন্ধিত ছিল।
- এক প্রবাসী ইসরায়েলি একবার বলেছেন, “দুই-একটা পাসপোর্ট থাকা তো ভালো — যদি ইসরায়েলে পরিস্থিতি খারাপ হয়, একটি ব্যাকআপ থাকে।”
২০২৫ সালের শনিবার — দূতাবাসের সামনে সারি: কি ঘটেছিল?
২০২৫ সালের ২৯–৩০ নভেম্বর, পর্তুগাল দূতাবাস একটি বিশেষ in‑person application day (“walk-in”) ঘোষণা করে। কারণ: অনলাইন সিস্টেম দীর্ঘদিন ধরে over-saturated ছিল; বহু আবেদনকারী সময়মতো slot পায়নি। দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ঘোষণা ছিল যে “যারা অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেননি, তারা সরাসরি আসতে পারেন”।
ফলে ভোর থেকেই হাজার হাজার ইসরায়েলি দূতাবাসে হাজির হন। সাংবাদিকরা এবং আগত আবেদনকারীরাও উল্লেখ করেছেন — সারি গেট থেকে শুরু করে পার্কিং পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, তারা “হাজার হাজার আবেদনকারীকে সেবা দিয়েছে এবং কেউ বাইরে থেকে ফিরে যায়নি” — অর্থাৎ, সবাই অন্তত একটি আবেদন বা নবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশ্লেষণ: এটি শুধুই “নাগরিকত্বের আবেদন” না — বরং পালানোর চেষ্টা বা নিরাপত্তা‑অন্বেষা
যদি এই ঘটনা শুধুই একটি ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক নাগরিকত্বের সিদ্ধান্ত ছিল, তাহলে হয়তো আগ্রহ সামান্য থাকত; কিন্তু যে পরিমাণ ভিড় দেখা গেছে, তা দেখায় — বিষয়টি অনেক বেশি। আসল কারণগুলো:
- নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ‑অনিশ্চয়তা: সাম্প্রতিক ইসরায়েলি–ফিলিস্তিনি সংঘাত এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেককে “Plan B”–র দিকে ঠেলে দিয়েছে। তারা চান, যেকোনো টানাপোড়েন বা যুদ্ধের সময় EU পাসপোর্টের মাধ্যমে নিরাপদ দেশ বা নতুন জীবন গড়ার সুযোগ থাকুক।
- EU নাগরিকত্বের সুবিধা: EU–র মধ্যে নিজের পছন্দ মতো বসবাস, কাজ, পড়াশোনা, ভ্রমণ — সবই অনেক সহজ। কম জীবনযাত্রার ব্যয়, সস্তা শিক্ষা, এবং চাকরির সুযোগ — বিশেষ করে নিজের কর্মজীবনের পরিবর্তন বা ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে — খুবই আকর্ষণীয়।
- অনলাইন পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা এবং সময়োপযোগী সুযোগ: অনলাইন আবেদন সিস্টেমে দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ফ্রাস্ট্রেশন নতুন “walk-in” দিনে পৌঁছানোর মূলে ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন — যদি এখন সুযোগ পাই, আছি; না হলে কখন হবে জানি না।
- মানসিকবন্ধন ও “ব্যাকআপ”–এর আকাঙ্ক্ষা: অনেকের জন্য এটি কেবল নৈতিক বা ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার বিষয় নয়, বরং একটি বাস্তবসম্মত ব্যাকআপ পরিকল্পনা। ভবিষ্যতে যেকোনো অস্থিরতার প্রতিকারে তারা প্রস্তুত থাকতে চান।
এ রূপে, পর্তুগিজ নাগরিকত্ব তাদের জন্য কেবল একটি “দ্বিতীয় পাসপোর্ট” নয়, বরং একটি আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং বিকল্প জীবনের পথ।
পর্তুগালের দৃষ্টিকোণ — ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার থেকে বৃহত্তর সমস্যার দিকে
যদিও প্রাথমিকভাবে আইনটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার উদ্যোগ, কিন্তু ফলাফল প্রায়ই অনুপূরক। পর্তুগালে এর প্রভাব এবং প্রাসঙ্গিকতা পরিবর্তন হয়েছে:
- ২০২৩ সালে পর্তুগাল সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, আইনটির আবেদন পদ্ধতি কঠোর করা হবে — আবেদনকারীদের এখন শুধুই “উত্সগত ইউরোপীয় heritage” বা genealogy–তে বিশ্বাসযোগ্য সংযোগ দেখাতে হবে। এর ফলে, অনেক নতুন আবেদন বন্ধ বা কঠিন হয়ে যাবে।
- এই বাস্তবতায়, যে এত বড় ভিড় দেখা গেছে — এটি নির্দেশ করে যে, আবেদনকারীরা জানেন যে সুযোগ সীমিত, আর পরিবর্তিত আইন আসার আগে দ্রুত আবেদন করতে চাইছেন।
- অন্য দিকে, অনেক আবেদনকারী পর্তুগালে কখনো বসবাসই না করে, শুধুই একটি পাসপোর্ট জন্য আবেদন করছেন — ফলে “নাগরিকত্ব” এর অর্থ এবং উদ্দেশ্য প্রশ্নের মুখে। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যদিও প্রায় ৬০,০০০ ইসরায়েলি নাগরিকত্ব পেয়েছেন; কিন্তু মাত্র ৫৬৯ জন পর্তুগালে বসবাস করেন।
- অর্থাৎ, পর্তুগাল হয়তো একটি ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার চেষ্টার অংশ চেয়েছিল; কিন্তু ফলাফল ছিল ভিন্ন — নাগরিকত্ব এখন পরিণত হয়েছে একটি “বাণিজ্যিক” ও “পাসপোর্ট অভ্যাস”–এ।
এই কারণে — এবং ভিড়, আবেদন তুঙ্গে — পর্তুগাল এখন নিজেদের আইন ও নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে।
ইসরায়েলি সমাজে প্রতিক্রিয়া ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
- অনেক ইসরায়েলি, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত শ্রেণি, দেখছেন পর্তুগিজ পাসপোর্টকে একটি “ভবিষ্যতের নিরাপত্তা জাল” হিসেবে। যদিও তারা হয়তো এখন ইসরায়েলে আছে, কিন্তু ভবিষ্যতে রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতা আবার দেখা দিলে — তাদের জন্য EU–তে যাওয়ার পথ খুলে যাবে।
- বিরোধীরা বলছেন — এমন নাগরিকত্ব আইন শুধুই ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার নয়, বরং এখন পাসপোর্ট বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে; যারা সত্যিকারের সংযোগ বা intención না রাখেও আবেদন করতে পারছে। এটি “আত্মিকতা” বা “ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা”র ভাবনাকে কমিয়ে দিচ্ছে।
- পর্তুগাল ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে — কীভাবে heritage-based citizenship (ঐতিহ্য ভিত্তিক নাগরিকত্ব) এবং modern‑migration/immigration interest (আধুনিক অভিবাসন আগ্রহ) একসাথে সামলানো যায়।
- ভবিষ্যতে, নতুন কঠোর আইন বা নিয়ম (যেমন residence requirement, ভাষা পরীক্ষা, cultural integration ইত্যাদি) আরও সাধারণ হতে পারে — যা heritage-based citizenship’কে “দ্বিতীয় পাসপোর্ট” হিসেবে ব্যবহার করাকে কঠিন করবে।
২০২৫ সালের শেষ দিকে, ইসরায়েলে দেখা যাওয়া হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ সারি — Portuguese Embassy–র সামনে — শুধুই একটি “নাগরিকত্ব আবেদন” বা “পাসপোর্ট নবায়ন” নয়, বরং একটি বৃহৎ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ইতিহাস‑ভিত্তিক প্রক্রিয়ার প্রতিফলন।
যা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের heritage-based citizenship আইন থেকে — তা এখন পরবর্তী ধাপে গিয়ে দাঁড়িয়েছে: অনেক ইসরায়েলি উৎসাহিত হচ্ছেন — EU নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বিকল্প জীবন এবং ভবিষ্যতের অভিবাসন বিকল্প হিসেবে। একই সঙ্গে, পর্তুগালের দিকে heritage-based citizenship–এর আসল উদ্দেশ্য ও বর্তমান বাস্তবতা — দুইয়ের মধ্যকার ফারাক স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
এই ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব পরিবর্তন নয়; এটি একটি সামাজিক সংকেত — যে, বিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তাহীনতা, এবং ভবিষ্যত‑অনিশ্চয়তা মানুষকে ভৌগলিক সীমানা ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় উপেক্ষা করে বিকল্প সন্ধানে প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
Watch Video
Related Posts
View All
রক্তে রাঙা শান্তিরক্ষা মিশন: সুদানে ড্রোন হামলায় ৬ বাংলাদেশি সেনা নিহত | Six Bangladeshi Peacekeepers Killed in Sudan Drone Attack
সুদানের দক্ষিণ কোরদোফান অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এই হামলাকে ‘হররিফিক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি।

🔥 চীনের দাবি অস্বীকার, অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা | Arunachal Will Remain Integral Part”: India’s Firm Response After Shanghai Airport Detention
শেনজেন বিমানবন্দরে অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নাগরিক আটক হওয়ার ঘটনা ভারতের কূটনৈতিক আগ্রাসনকে তীব্রভাবে সামনে এনেছে। Ministry of External Affairs স্পষ্ট জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং চীনের কোনো দাবি বা অসন্তুষ্টি এ বাস্তবতা বদলায় না। ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি জাতীয় সার্বভৌম

⚠️ আবার যুদ্ধের আগুন! ট্রাম্প-মধ্যস্থ সমঝোতার পরও থাই–কম্বোডিয়া সংঘর্ষ বেড়েই চলছে | Border War Returns: Thai Airstrikes, Cambodian Artillery Shake Fragile Truce
থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের দফায় দফায় গোলাগুলি ও বিমান হামলায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ট্রাম্প-মধ্যস্থ শান্তিচুক্তির মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই দুই দেশের পুরনো সীমান্ত বিবাদ আবার রক্তাক্ত রূপ নিয়েছে।







